বয়স ৬০ পেরনোর আগেই কি ব্রেন স্ট্রোক কেড়ে নেবে আপনার প্রাণ? রক্তের গ্রুপই দেবে উত্তর, মিলিয়ে নিন

নিজের রক্তের গ্রুপ মাথায় রাখা খুবই জরুরি। আসলে রক্তের গ্রুপের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। এবার দেখা গিয়েছে যে রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলিয়ে কিছু রোগও সামনে আসছে। এই যেমন স্ট্রোকের আশঙ্কার (Stroke Risk) পিছনেও থাকে রক্তের গ্রুপ। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে নতুন একটি গবেষণাতেও উঠে এসেছে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে আপনার স্ট্রোক হবে কি না তা জানা যাবে ব্লাড গ্রুপের (Blood Group) উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে University of Maryland School of Medicine-এর বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন, এমন একটি ব্লাড গ্রুপ যাঁদের ৬০ বছরের আগে স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি।

এই গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে জার্নাল অব নিউরোলজিতে। এক্ষেত্রে গবেষকরা দেখেছেন ইস্কেমিক স্ট্রোকের নানা তথ্য। ইস্কেমিক স্ট্রোক (Ischemic Stroke) হল সবথেকে কমন স্ট্রোকের ধরন। এক্ষেত্রে জেনেটিক স্টাডিও করা হয়। এরপরই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান বিশেষজ্ঞরা।

এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে ব্লাড গ্রুপ এ-এর ক্ষেত্রে ৬০ বছরের আগে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা ১৬ শতাংশ বেশি। আর এই গবেষণা সামনে আসার পর থেকেই রয়েছে চাঞ্চল্য।

​কোন ব্লাড গ্রুপে স্ট্রোক কম হয়?
এই গবেষণাতে বলা হয়েছে যে সাধারণত ও রক্তের গ্রুপের স্ট্রোকের আশঙ্কা (Stroke Risk) কম। এছাড়া রক্তের গ্রুপ বি হলেও স্ট্রোকের আশঙ্কা কিছুটা কম থাকে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এভাবেই আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

এবার মাথায় রাখার বিষয় হল, এই বিজ্ঞানীরা তথ্য ঘেটে এটা খুঁজে পেয়েছেন যে সমস্যা তৈরি হয়ে যায় ব্লাড গ্রুপের কারণে। তবে তা কেন হয়, এটা কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না, সেই কারণেই সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সেই সারসত্য খুঁজে চলেছেন নিয়মিত। তারপরই মিলবে সত্যের দেখা।

এই প্রসঙ্গে এই গবেষণার কো প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর রে জে কিটনার বলেন, এখনকার সময়ে মানুষ কম বয়সেই আক্রান্ত হচ্ছেন স্ট্রোকে (Stroke)। এবার দেখা গিয়েছে যে স্ট্রোকের কারণে কম বয়সে মৃত্যু ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্যারালিসিস হয়। এরপর মানুষ কাজ করার ক্ষমতাও হারান। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এবার এই গবেষণার মাধ্যমে বোঝা গেল যে কোনো ব্লাড গ্রুপের ক্ষেত্রে সমস্যা খুব বেশি।

এই গবেষণাটি করা হয় ১৭ হাজার মানুষের উপর। এনারা প্রত্যেকেই ছিলেন স্ট্রোকের রোগী। এক্ষেত্রে তাঁদের উপর ৪৮টি জেনেটিক স্টাডি করা হয়। এরপরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান গবেষকরা।

এবার এত কথা হলেও বেশিরভাগ মানুষ জানেনই না যে স্ট্রোক ঠিক কী রোগ। এক্ষেত্রে মাথায় হয় স্ট্রোক। মাথায় রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণহানী পর্যন্ত হতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া খুবই জরুরি।

এবার স্ট্রোক হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করতে হবে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করতে পারলে মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুস্থ সেই সময়ে হওয়া সম্ভব হয় না। তখন ফিজিও থেরাপির মাধ্যমে যতটা সম্ভব চিকিৎসা করা হয়। তারপরই মানুষ ভালো থাকেন। এবার এই বিষয়টি মাথায় অবশ্যই রাখতে হবে। নইলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এটা মাথায় রাখুন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy