আপনি কি টনসিলের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে এই সমস্যার কিছু ঘরোয়া উপায়, জেনেনিন

জিভের পেছনে ও গলার দুই পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যা দেখা যায়, তাই হলো টনসিল। টনসিল দেখতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি মূলত এক ধরনের টিস্যু বা কোষ।
টনসিল মুখ, গলা, নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টনসিলের ব্যথা হয়ে থাকে।

সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলো টনসিলের এই সংক্রমণের জন্যও দায়ী। আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ে এই টনসিল দূর করতে পারেন।

আসুন জেনে নিই টনসিল প্রতিরোধে ঘরোরা ৫ উপায়-

আদা চা

দেড় কাপ জলে এক চামচ আদার কুচি আর আন্দাজ মতো চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এই পানীয় পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছাড়াতে বাধা দেয় ও গলাব্যথা কমায়।

লবণ জল

গলাব্যথা হলে গরম জলে লবণ দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে খুব ভালো কাজ করে।

লেবুর রস

এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ জলে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। গলাব্যথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত খেতে থাকুন।

সবুজ চা ও মধু

এক কাপ গরম জলে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা খেতে পারলে উপকার পাবেন।

হলুদ দুধ

এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। কারণ ছাগলের দুধে আছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাবেন। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলাব্যথা ও টনসিলের সংক্রমণ দূর করে।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy