আপনি কি মধুর পুরো পুষ্টিগুণ পেতে চান, তাহলে জেনেনিন এই ৫টি নিয়ম

পুষ্টিগুণ ও শরীরিক উপকারিতার বিষয়ে বিবেচনা করলে খাঁটি ও প্রাকৃতিক মধুর কোনো বিকল্প নেই। মধু খেতেও যেমন উপাদেয়, তেমনি এর গুণে কথাও বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে শীতকালে নিয়মিত মধু খেলে জ্বর-ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা কমে।

তবে প্রশ্ন একটাই, মধু খাবেন কীভাবে? ছোট-খাটো টোটকাগুলো জানা থাকলে বড় উপকার পাবেন-

জলের সঙ্গে মিশিয়ে

হালকা গরম জলে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরের জন্য খুব ভালো। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ এতে পরিষ্কার হয়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

সালাদে মধু

একটা পাত্রে কিছুটা অলিভ অয়েল, লেবুর রস, আর কিছুটা মধু মিশিয়ে নিন। এবার পছন্দের সালাদের ওপর ছিটিয়ে দিন সেই মধু। এটিও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

চায়ে মধু

সকালের চায়ে চিনি মেশান? তার বদলে চায়ে মধু দিয়ে খান। এতে মিষ্টির চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনই শরীরের উপকারও হবে।

ডেজার্ট বানান মধু দিয়ে

ডেজার্ট বানাতে চিনি তো লাগেই। সেই চিনি পুরোপুরি বাতিল করে দিন। তার বদলে এবার থেকে মধু ব্যবহার করুন। মিষ্টি তো হবেই, শরীরের জন্য এটি লাভেরও।

চিনির বদলে প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে সবচেয়ে বেশি যেসব লাভ হয়-

* মধু শরীরের ক্লান্তি দূর করে দ্রুত শক্তি জোগায়।

* নিয়মিত চিনি খেলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে পারে। কিন্তু খাঁটি মধু খেলে ঠিক উল্টো। এতে হৃদযন্ত্রের উপকার হয়। কমে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা।

* মধু খেলে হজমশক্তি বাড়ে। মেটাবলিজমও বাড়ে। ফলে ওজন কমে। সকালে খালি পেটে মধু খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

* যাদের ঠান্ডা লাগে বার বার, তারা যদি চিনির বদলে নিয়মিত মধু খান। এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

* মধুর কিছু উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে। ফলে ত্বক নমনীয় এবং উজ্জ্বল হয়।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy