এখন আপনার দাঁতের হলদে দাগ দূর করতে সাহায্য করবে যেসব খাবার, জেনেনিন অবশ্যই

ঝকঝকে সাদা দাঁত কে না চায়! তবে ভুল খ্যাদ্যাভাস, দাঁতের যত্ন না নেওয়া ও ধূমপানের কারণে অনেকের দাঁতেই হলদে ছাপ পড়ে। যা দাঁতের সৌন্দর্য হারায়। হলদে দাঁতের কারণে অনেকে প্রাণখুলে হাসতেও দ্বিধাবোধ করেন।

যদিও অনেকেই ব্লিচিং ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার করান। তবে সবার পক্ষে তা করানো সম্ভব হয় না। আবার ব্লিচিং করালে দাঁতের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। দাঁতের অ্যানামেল ক্রমশ ক্ষয় হতে থাকে।

তখনই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে ভিতরের ডেন্টিন। এই অবস্থায় দিনে তিনবারের বেশি ব্রাশ করা একেবারেই উচিত নয়। ব্রাশ করার সময় খুব জোরে ঘষবেন না। অনেকেই লেবুর রস বা বেকিং সোডা ব্যবহার করে দাঁত সাদা করেন।

তবে এসব দিয়ে দাঁত বেশি ঘষাঘষি করলে অ্যানামেল আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে ঝকঝকে দাঁত পেতে কয়েকটি খাবার খেতে পারেন। এতে করে দাঁত হবে সাদা ও ঝকঝকে।

>> মাশরুমে লেন্টিনান নামক এক উপাদান থাকে। এটি মুখের মধ্যে প্লাকের কারণে সৃষ্ট দাগ কমায়। এই মাশরুম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মোকাবেলা করে। এর ফলে ভালো ওরাল ব্যাকরিয়ারও কোনো ক্ষতি হয় না।

>> আয়ুর্বেদে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নানা ধরনের তেল ব্যবহারের উল্লেখ আছে। তিলের তেল ব্যবহারে দাঁতে প্লাক সৃষ্টি হয় না, দাঁতের ক্ষয় রোধ হয় ও হ্যালিটোসিস নিরাময় ঘটে। আবার ব্রাশ করার আগে তিল চিবিয়ে খেলেও দাঁতে লেগে থাকা জেদি দাগ-ছোপ পরিষ্কার হয়।

>> ব্রোকোলির স্বাদ অনেকেরই পছন্দ নয়। তবে এই সবজি দাঁত সাদা ও মজবুত করে। এটি প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও খনিজ থাকে। যা দাঁত মজবুত করে এবং ক্ষয় রোধ করে।

>> দাঁতের দাগ-ছোপ দূর করতে আপেল, স্ট্রবেরি, আনারসসহ অন্যান্য টকজাতীয় ফল ও তাদের খোসা উপকারী। এসবে উপস্থিত উপাদান দাঁতের প্লাক ভেঙে দেয়। ফলে দাঁত হলুদ হয় না। ফল খাওয়ার পর অবশ্যই জল পান করবেন তবে দাঁত মাজবেন না।

>> সেলেরিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও মিনারেল থাকে। এই দু’টি উপাদান দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত জল নোংরা, ময়লা পরিষ্কার করে দেয় ও দাঁতের ক্ষতিকারক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে।

>> গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই চা ও কফি পানের ফলে দাঁতে যে দাগ-ছোপ দেখা যায়, তা দূর হয়ে যায়।

গবেষণায় জানা গেছে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের দাঁত ও মাড়ি হয় স্বাস্থ্যকর ও মজবুত। এমনকি এটি দাঁত ক্ষয় ও গিঙ্গিভাইটাসির মতো মাড়ির রোগের ঝুঁকিও কমায়।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy