কাজের অতিরিক্ত চাপ? দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হচ্ছে না? সাবধান

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানুষের মেটাবলিক রেট নষ্ট হয়ে যায়। প্রয়োজনের কম ঘুম স্ট্রেস হরমোন যেমন করটিসলকে রিলিজ করে দেয় যার ফলে শরীরে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এসব স্ট্রেস হরমোন খাবার, পানীয়র প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় আর এর ফলে ওজন বাড়তে থাকে, যা থেকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্ম হয়। অনিদ্রা কীভাবে ডায়াবেটিসের জন্ম দেয় সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অপর্যাপ্ত ঘুম হরমোন লেপটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় যার ফলে শরীরে কার্ব হাইড্রেটের চাহিদা বাড়তে থাকে। শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণের জন্য লেপটিনও দায়ী। এজন্য আপনি যদি কম ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সুগার লেভেল পরীক্ষা করে দেখা উচিত। অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন অ্যান্ড স্লিপ রিসার্স সোসাইটির মতে, একজন সুস্থ মানুষের জন্য রাতের বেলা সাত ঘণ্টা ঘুম জরুরি। শরীর ফিট রাখার জন্যও ঘুমের বিকল্প নেই। সারাদিনের ক্লান্তিভাব কম ঘুমের লক্ষণ।

কম ঘুমের কিছু লক্ষণ:

১. কাজে মনযোগ কম এবং প্রখর চিন্তা না করা।

২.সারাদিনে ক্লান্তিভাব।

৩. মুড সুইং

৪.দুর্বল স্মৃতি

৫. সব সময় রাগান্বিত অনুভব করা।

৬.অনেক বেশি স্ট্রেস নেওয়া।

এসব লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনার প্রতিদিন ঘুমের সিডিউল ঠিক করা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করার কিছু টিপস চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. ঘুমানোর সময় শোবার ঘর অর্থাৎ বেড রুম অন্ধকার রাখার চেষ্টা করুন।

২. ঘুমানোর সময় যেকোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

৩. সারাদিন কাজের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।

৪. বিছানায় যাওয়ার আগে সব চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে রিলাক্স থাকার চেষ্টা করুন।

৫. ঠাণ্ডার সমস্যা না থাকলে ঘুমের আগে স্নান করুন। সেই সাথে বই পড়তে পারেন।

৬. বিছানায় যাওয়ার আগে ক্যাফেইন, অ্যালকোহল খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

৭. দুপুর ৩টার পর ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। এতে করে আপনার রাতে ঘুমের সমস্যা হবে না।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© 2023 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy