কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণায় অনেকে সারা বছরই ভুগে থাকেন। মাঝেমধ্যে নানা কারণে মল কঠিন হতেই পারে। তার মানেই যে কোনো রোগে ভুগছেন, তা নয়। যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হয়, তখনই একে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে।
এ জন্য অনেকে ওষুধ, সিরাপ এবং মলদ্বারে দেওয়ার সাপোজিটরি ওষুধ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন, যা মোটেও উচিত নয়। নিয়মিত এসব ওষুধ ব্যবহার করলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। মলদ্বারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। তাই চট করে ওষুধ না ব্যবহার করে খাদ্যাভ্যাস পাল্টে দেখুন সমস্যার প্রতিকার হয় কি না।
কী খাবেন?
বেশি করে শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খান। খোসাসহ ফলমূলে আঁশ বেশি। গোটা শস্য, যেমন ভুট্টা বা গমের তৈরি খাবার, ডাল, বীজজাতীয় খাবারেও আঁশ আছে। ইসবগুলের ভুসিও খেতে পারেন। প্রচুর জল পান করুন।
কী কী খাবার কম খাবেন?
লাল মাংস কম খেতে হবে। চিপস, ভাজাপোড়া খাবার, কফি, চকলেট ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো। যেসব খাবার তৈরিতে প্রচুর চিনি ব্যবহৃত হয়, সেসব খাবারও কোষ্ঠকাঠিন্য করে। যেমন বেকারির খাবার—কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি। অনেক সময় কাঁচা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যাঁরা আয়রন ক্যাপসুল খান, তাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া স্বাভাবিক। খাদ্যাভ্যাস পাল্টেও সমস্যার সমাধান না হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।