সর্দি-কাশিতে কষ্ট পাচ্ছেন? জেনেনিন কিছু খেরোয়া সহজ টোটকা!

শীতে আমাদের স্বাস্থ্যের দরকার বাড়তি যত্ন। অনেক সময় শীতের কারণে আমরা নানা রোগে পড়ি। অনেকেই পুরো শীতে কাশির সমস্যায় ভুগেন। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে অনেকে কাশিকে অবহেলা করেন, তা শুকনো কাশি হোক আর কফযুক্ত কাশি। তবে কাশিকে অবহেলা করা উচিত নয়। কাশি সারাতে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিতে পারেন। আসুন কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেই-

* শিউলি পাতার রস:
অনেকের বাড়িতে শিউলি ফুল গাছ থাকে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে গাছ থেকে দু-তিনটি পাতা তুলে নিন। ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখে পুরে নিন। ভালো করে চিবিয়ে যতটুকু রস আছে খেয়ে পরে ফেলে দিন। এটি নিয়মিত খেলে কাশি কমবে। যদিও শিউলিপাতার রস একটু তেতো।

* তুলসী পাতা:
কাশির সমস্যা মেটাতে অন্যতম ভেষজ তুলসী পাতা। তুলসী পাতা কাশি ও কফ দূর করতে অত্যন্ত উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে গাছ থেকে আট-দশটা ছোট তুলসী পাতা তুলে ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। তুলসী পাতায় অ্যান্টিটিউসিভ ও এক্সপেকটোরেন্ট নামক দুটি উপাদান থাকে, যা বুকে জমে থাকা কফকে তরল করে বের করতে সাহায্য করে।

* মধু:
কাশির সমস্যা মেটাতে কার্যকর মধু। কাশি যদি খুশখুশে প্রকৃতির হয়, তবে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খান। প্রথমে আদা থেতো করে একচামচ রস বের করে নিন। এরপর এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি মেনে চললে কয়েক দিনের মধ্যে কাশি কমে যাবে। বুকে যদি কফ জমে থাকে, তবুও মধু সমান কার্যকর। এক্ষেত্রে মধু খাওয়ার পদ্ধতি অন্যরকম। মধু খেতে হবে এক গ্লাস হালকা গরম জল র সাথে মিশিয়ে, অথবা সকালে চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। গরম vবা চায়ের সঙ্গে মধু খেলে বুকে জমা কফ দূর হবে।

* আনারস:
আনারসে এমন একটি উপাদান থাকে, যা গলায় জমে থাকা মিউকাসকে পরিষ্কার করে। এই মিউকাসের জন্যই সাধারণত কাশি হয়। আনারসের এই উপাদানের নাম ব্রোমেলাইন। এটি শুধু আনারসেই মেলে।

* গার্গল করুন:
অল্প গরম জল আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। এতে গলার খুশখুশ ভাব কমে যাবে, কফও সহজে বেরিয়ে আসবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy