আজ থেকেই নিয়মিত খান এইসব খাবার, তাহলে কাছেও ঘেঁষবে না ক্যান্সার! বলছে গবেষণা

২০20 সালের তথ্য অনুসারে সারা বিশ্বে প্রতি বছর নতুন করে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ। শুধু তাই নয়, বছর বছর এই সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই তো চিকিৎসকেরা মনে করছেন এমনভাবে যদি এই মারণ রোগের প্রকোপ বাড়ে, তাহলে ২০২5 সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে একজন করে ক্যান্সার রোগী থাকবেন।

এখন প্রশ্ন হল ক্যান্সার রোগ যখন মহামারির আকার ধরণ করতে চলেছে, তখন নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের বাঁচাবেন কীভাবে সে সম্পর্কে ভেবেছেন কিছু? আরে আরে এত চিন্তা করছেন কেন! ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বন্ধু! কেন এমন কথা বলছি জানেন? কারণ ক্যান্সার রোগের মার থেকে বাঁচার উপায় আছে। আর কী সেই উপায়?

এই লেখায় এমন কিছু খাবারের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা ক্যান্সার রোগকে তো দূরে রাখবেই, সেই সঙ্গে শরীরকে ভেতর এবং বাইরে থেকে এতটাই শক্তিশালী করে তুলবে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। প্রসঙ্গত, শরীরকে সুস্থ রাখতে সাধারণত যে যে খাবারগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল…

১. ব্রকলি
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রস্টেট, কোলন এবং ব্লাডার ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত ‘সালফোরাফেন’ নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ক্যান্সার সেল সৃষ্টিকারি বিশেষ কিছু রাসায়নিক শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনও আশঙ্কা আর থাকে না।

২. কমলা লেবু
শীতকাল তো প্রায় এসেই গেল। তাহলে আর অপেক্ষা কেন! আজ থেকেই কমলা লেবু খাওয়া শুরু করে দিন। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! আসলে বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে প্রতিদিন যদি একটা করে কমলা লেবু খাওয়া যায়, তাহলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। কারণ এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর ক্যান্সার কোষদের ধ্বংস করে দেয়। ফলে কোনও ধরনের ক্যান্সারেই আর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৩. গ্রিন টি
চিকিৎসকেদের মতে প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করা শুরু করলে শরীরে এত মাত্রায় অ্যান্টঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে যে ইসোফেগাল, লাং, ওরাল, লিভার, প্যানক্রিয়াটিক এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতোটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৪. টমেটো
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে বাস্তবিকই টমেটোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটি খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে লাইকোপেন নামক একটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা আসলে একটি অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান। প্রসঙ্গত, গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত একটা করে কাঁচা টমাটো খাওয়া শুরু করলে প্রস্টেট, এন্ডোমেটরিয়াল, লাং, প্রস্টেট এবং স্টমাক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৫. আদা
আমাদের দেশে যে হারে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে ৮-৮০ এর নিয়মিত অল্প করে কাঁচা আদা খাওয়া উচিত। কারণ এমনটা করলে ক্যান্সার সেলের প্রকৃতি বদলে গিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের মেরে ফেলে। আর শরীরে যখন ক্যান্সার সেল থাকেই না, তখন ভয় কিসের!

৬. আপেল
প্রতিদিন আপেল খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। আর যদি আপেলের খোসা খাওয়া শুরু করেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত আপেলের খোসা খেলে শরীরে উপস্থিত ক্যান্সার কোষদের আয়ু কমতে শুরু করে। ফলে প্রস্টেট এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।

৭. পালং শাক
বাঙালীদের প্রিয় এই সবজিটিকে যদি রোজের ডায়েটে জায়গা করে দেন, তাহলে আর কোনও চিন্তা নেই। কারণ পালং শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি, কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌথ ভাবে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানদের মেরে ফেলে। ফলে এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু, নিজের এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের আয়ু বৃদ্ধি পাক, এমনটা যদি চান, তাহলে পালং শাক দিয়ে তৈরি নানা পদ খেতে ভুলবেন না যেন!bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy