সুযোগ পেলেই দাঁতের নিচে নখ দেয় সারা। কখনো কখনো নিজের অজান্তেই কাজটি করে ফেলে। এভাবে নখ কামড়ানোর জন্য প্রায়ই বন্ধুমহল থেকে শুরু করে অফিসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাকে। দাঁত দিয়ে নখ কাঁটা বা নখ কামড়ানোর স্বভাব সাধারণত ছোট শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু কেউ কেউ বড় হলেও এই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না।
আমাদের নখে নানা ধরণের জীবাণু থাকতে পারে। আর নখ কামড়ানোর সময় সেসব জীবাণু খুব সহজেই দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণত, বড়রা কোনোরকম উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠায় থাকলে এমন কাজ করে থাকেন। তবে বিজ্ঞানের আবিষ্কারে এটি কেবল বাজে অভ্যাস নয় বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্যক্তিত্বও। যেসব মানুষের নখ কামড়ানোর স্বভাব থাকে তাদের বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্ন হয়।
বিজ্ঞানীদের ভাষায় এই অভ্যাসটিকে অনিকোফাগিয়া বলা হয়। তাদের মতে, কলম চিবুনো, নিজের চুল টানা এমন অভ্যাসের মতোই একটি অভ্যাস নখ খাওয়া। এ ধরণের মানুষ কেবল স্ট্রেস বা উদ্বেগই নয়, এক ধরনের পারফেকশনিস্ট হন।
মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, যেসব ব্যক্তিরা নখ কামড়ান তারা অবসর থাকতে পারেন না। সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে রাখেন। আর সবসময় কাজের গতি ধরে রাখতে চান তারা। অনেকে অবশ্য একঘেয়েমি দূর করার জন্য নখ খান। এখানেই শেষ নয়। কিছু কিছু মানুষ খুব আনন্দ উচ্ছ্বাসে থাকলেও নখ খেয়ে ফেলেন।
তবে নখ কাটার মূলে কারণ যাই হোক, এমন অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শই দেন গবেষকরা। নচেৎ, নখ থেকে জীবাণু পেটে প্রবেশ করে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।bs