এখন আপনার অলসতা দূর করার জন্য যা যা করণীয়, দেখেনিন একঝলকে

কাজ না করা কিংবা স্বেচ্ছ্চারিতা যেকোনো কারণে অলসতা ঘিরে ধরতে পারে। হয়তো অনেক সময় কর্মব্যস্ততা থাকলে বাঁধাধরা কাজের গণ্ডিটুকু ছাড়া কোনো কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। সঠিক মানসিকতা এবং উদ্যম ছাড়া কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। পরিকল্পনার অভাবে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায় বলে সেই মজ্জাগত অলসতা চলে আসে। অনেকেই এই অলসতা কাটানোর জন্য নানা উপায় ভেবে বের করলেও ঠিক করে উঠতে পারেন না কোন উপায় কিংবা পথে এগোলে নিজের অলসতা কাটানো সম্ভব হবে।

ভবিষ্যতে এই অলসতা কারও ব্যর্থতার কারণ হয়ে যাতে না দাঁড়ায় তাই এটি কাটিয়ে উঠার কিছু উপায় জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লোডস্কাই।

১. সঠিক কারণ খুঁজুন

অনেক ক্ষেত্রেই আমরা অলসতার সঠিক কারণ জানি না। আর ঠিকঠাক কারণ না জানার জন্য আমরা বারবার পিছিয়ে পড়ি। তাই যদি মনে হয়ে থাকে আপনি অলসতায় ভুগছেন তাহলে প্রথমেই হতাশ না হয়ে তার কারণ খুঁজুন। ঠিক কী কারণে এই অসুবিধা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করুন। কর্মজীবনে হতোদ্যম হয়ে পড়া থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়া, এসব আপনার অলসতার কারণ হতে পারে। চিকিৎসা শাস্ত্রে বলে রোগ সারাতে হলে প্রথমে দরকার সঠিক রোগ নির্ণয়। এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। আসল কারণ খুঁজে পেলে সেটা কী করে সমাধান করা যেতে পারে তার রাস্তা বের করা সহজ হয়ে পড়ে।

২. গুছাতে শিখুন

আলসেমি কিংবা অলসতা কাটানোর প্রথম এবং প্রধান ধাপ এটা। নিজের কাজকে গুছাতে শিখুন। পরনির্ভরশীলতা কমান। নিজের কাজ করার জন্যে অন্যকে ডাকবেন না। নিজের কাজ গোছানো আলসেমি কাটানোর প্রধান ধাপ। সেটা নিজের ঘর হোক কিংবা নিজের কাজের বা পড়ার টেবিল। রোজ নিজের ব্যবহার করা জিনিস গুছিয়ে রাখলে ফেলে রাখার মনোভাব কমবে। ইচ্ছা হলে নিজের কাপড় বা জামা নিজে পরিষ্কার করুন সপ্তাহে এক দিন। এই ছোটো ছোট কাজগুলো এক সময় আপনার অলসতা ভরা চিন্তা ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখবে।

৩. আজকের কথা ভাবুন
আমরা তখনই আমাদের মধ্যে অলসতা ঢুকতে দিই যখন কাজ কম করে ভাবি বেশি। আজকে কি করতে হবে না ভেবে আগে কি হয়েছিল বা পরে কি হবে এই করেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিই। এই অভ্যেস ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। কাজ না করে আগের বা পরের কথা ভেবে লাভ হয় না সময় নষ্ট ছাড়া। আজকে কি করছেন তার ফল কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে সেটা ভেবে নিজেকে কাজে নিয়োজিত করে দেখুন। ফল পাবেন।

৪. সকালে উঠুন

ভোরবেলা বিছানা ছড়ার জন্যে সবাই বলে। কিন্তু আজকের বিনোদন মুখর জীবন সেই কাজ করতে নারাজ। এই অভ্যাস ত্যাগ করে রোজ সকালে উঠুন। সকালের শুরু যদি ভালো হয় সারা দিন কাজ করার আলাদা এনার্জি থাকে। সকালের বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি থাকে দূষণ কম হওয়ার কারণে। সঙ্গে রোজ সকালে স্বাস্থ্য চর্চা করুন। অল্প সময়ের জন্যে হলেও। যোগাভ্যাস কর

৫. নিজের পছন্দ জানুন

নিজে কী করতে ভালোবাসেন তা জানার চেষ্টা করুন। নিজে যা করতে ভালবাসেন তাতে মন দিন। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন দেখেন নতুন কিছু আপনার হাত থেকে তৈরি হচ্ছে নিজের ভালো লাগবে। অবসর সময় যা অলসতা হওয়ার প্রধান সময়, তাকে যদি উদ্ভাবনী কোনো কাজে যুক্ত রাখেন তাহলে নিজেকে কখনোই অলস বলে মনে হবে না।

৬. নিজের কাজকে প্রাধান্য দিন

অনেক সময় হতে পারে কাল যে দূরদর্শিতা কথা ভেবে নিজের কাজগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে হয়তো তার কোনো কাজের গুরুত্ব কমেছে যা পরে করলেও হবে। অনেক সময় আমরা সেসব না ভেবে শুরু করেছি বলে শেষ করার জন্যে উঠেপড়ে লাগি। ফলে ইচ্ছা ক্রমশ কমতে থাকে। তাই কিছুদিন অন্তর নিজের ঠিক করা কাজগুলোকে ভালো করে দেখুন এবং তার প্রাধান্য বিচার করুন। তাহলে কাজে মন বসবে এবং আলসেমি কাটিয়ে কাজ শেষ হবে।

৭. সবার সঙ্গে মিশুন

পরিবার হোক কিংবা বন্ধু বান্ধব, সবার সঙ্গে মিশতে চেষ্টা করুন। এতে মন ভালো থাকবে এবং অন্যকে দেখে নিজের কিছু করার ইচ্ছাও জাগবে। অন্যের সফলতা দেখে হিংসা না করে কিভাবে তার মতো বা তার থেকে বেশি সফল হওয়া যায় তার পরিমিত পরিকল্পনা করলে যেমন অলসতা থেকে বেরোনো যায় তেমনি সফল হওয়া যায়।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy