কাঁচা নুন খাওয়া অভ্যাস নেই তো ?নাহলে হতে পারে বিপদ

আমাদের খাবারের সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবেই কিছু লবণ থাকে। বাড়তি লবণ ব্যবহার করা হলে তা নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে। এ লেখায় থাকছে তেমন কিছু ক্ষতির কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’ প্রত্যেক মানুষের জন্য ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ ক্ষতিকর বলে জানিয়েছৈ। এর পরিমাণ মাত্র এক চা চামচ। স্বাভাবিক খাবারেই এর তুলনায় বেশি লবণ থাকে। তাই বাড়তি লবণের প্রয়োজন হয় না। বাড়তি লবণ যেসব ক্ষতি করে সেগুলো হলো-

১. মস্তিষ্ক
মস্তিষ্ক দেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। বাড়তি লবণে মস্তিষ্কের আর্টেরিস ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এটি মস্তিষ্কের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমিয়ে ডিম্যানশিয়া রোগের কারণ হয়। লবণের কারণে মস্তিষ্কের কোনো ধমনী ফেটে স্ট্রোক হতে পারে।

২. হৃৎপিণ্ড
মানুষের হৃৎপিণ্ড অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাম্প করে সারা দেহে পাঠায়। এতেই সারা দেহের অঙ্গগুলো সচল থাকে। বাড়তি লবণ খাওয়া হলে তা ধমনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে কিংবা তা ফেটে যেতে পারে। এতে তীক্ষ্ণ বুকে ব্যথা হতে পারে। ফলে দেহে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। কোনো একটি ধমনী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে তা হার্ট অ্যাটাকও ঘটাতে পারে।

৩. কিডনি
কিডনি দেহের বাড়তি তরল পদার্থ দূর করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করে। দেহে বাড়তি লবণ প্রবেশ করলে তা কিডনির কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এতে দেহে বাড়তি লবণ জমা হতে পারে। এছাড়া বাড়তি লবণ কিডনিতে জমা হয়ে কিডনির নানা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এতে এক পর্যায়ে কিডনি নষ্টও হতে পারে।

৪. ধমনী
দেহের ধমনীগুলো অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে পরিবহন করে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ ধমনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। আর এতে ধমনী পুরুও হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাড়তি চাপে ধমনী ফেটে জীবনহানিও হতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy