কান্নায় শরীরের কী কী উপকার হয়, জানেন কি? না জানলে অবশ্যই জেনেনিন

মানুষের জীবনে অতি কষ্ট বা মন খারাপ থেকেই আসে কান্না। চোখের জলকে মন খারাপের সংকেত হিসেবেই ধরে নেওয়া হয় এই সমাজে। তবে এই চোখের জল আসা বা কান্নায় নাকি উপকার হয় শরীরের।

সুস্বাস্থ্য গড়ায় নাকি বড় ভূমিকা রাখে কান্না। এমনি তথ্য দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যত কাঁদবেন ততই উন্নতি হবে স্বাস্থ্যের।

প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা যায় শিশুরা বেশি কাঁদলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। তবে এবার জানা যাচ্ছে যে, বড়দের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রেও কান্নার উপকারিতা রয়েছে।

দেখে নেওয়া যাক কান্না কিভাবে শরীরের উপকারে আসে-

কাঁদলে শরীর থেকে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। দূষণের কারণে চোখে যে ধুলোবালি, ধোঁয়া প্রবেশ করে, কাঁদলে চোখের জল সঙ্গে তা বেরিয়ে আসে। চোখের জল মাধ্যমে শরীর থেকে বেশ কিছু টক্সিন নির্গত হয়ে যায়।

কাঁদলে মন অনেকটা হালকা হয়ে যায় ও মেজাজেরও পরিবর্তন ঘটে। অনেক ক্ষেত্রেই কান্নার পর মানুষ নতুন করে কাজ করার উদ্যম খুঁজে পান।

কাঁদলে চোখের শুষ্কতাও দূর হয়। বিশেষ করে যারা ড্রাই আইয়ের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য কান্না হতে পারে উপকারী। এই জল চোখের মিউকাস মেমব্রেনের শুকিয়ে যাওয়া রোধ করে। ফলে দৃষ্টিশক্তিও ভাল হয়।

ওজনও কমে কাঁদলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কান্নার সময় শরীর থেকে ক্যালোরি নির্গত হয়। আর এই ক্যালোরি নির্গত হলেই অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। যখন মানুষ কাঁদে তখন শরীর থেকে কর্টিসোল নামে এক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলে দ্রুত মেদ ঝরতে পারে।

কান্নার সময় মস্তিষ্কে এনডরফিন নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন অবসাদ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy