গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রথম তিন মাসে যা যা করণীয়, দেখেনিন একঝলকে

যে কোনো নারীর জীবনেই গর্ভাবস্থা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়। অনাগত সন্তান ও নিজের সুস্থতা নিশ্চিতে এ সময় বেশি সচেতন থাকতে হয়। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস একজন নারীকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।

যেহেতু প্রথম তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এ সময় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্লাড সুগারের মাত্রা, প্রেশার পরীক্ষা করুন। মাত্রায় কম বেশি হলে চিকিৎসককে জানান।

ব্যায়াম : অনেকেই ভাবেন, গর্ভাবস্থা মানেই সব কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে কিংবা নড়াচড়া করা যাবে না। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। হালকা কিছু ব্যায়াম করুন এ সময়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা করুন।

কাজ : নিয়মিত হাঁটাচলা, ঘরের টুকটাক কাজ করায় কোনো বাধা নেই। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা, ভারী জিনিস তোলা, সিঁড়ি দিয়ে বেশি ওঠা-নামা করা থেকে বিরত থাকুন।

খাবার : গর্ভে থাকা শিশুর যেন ঠিকমতো বিকাশ হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন। গর্ভস্থ শিশু যেন ভিটামিন ও মিনারেলস বিশেষ করে ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন পায়। খাদ্যতালিকায় রাখুন ব্রকলি, শিম, বরবটি, পাকা পেঁপে, বাঁধাকপি, গাজর, পুঁইশাক, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, লেবুর মতো খাবারগুলো।

খাবারের সময় : গর্ভাবস্থায় কখনোই খালি পেটে থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে তো একদমই নয়। অল্প অল্প করে ভাত, রুটি, দুধ, দই, মাছ, মাংস ও ডিম খেতে চেষ্টা করুন।

ওজন : ওজন স্বাভাবিক থাকলে গর্ভাবস্থায় ২৫ থেকে ৩৫ পাউন্ড ওজন বাড়ে। ২ মাস পরপর ওজন মাপুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা : গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিজেকে পরিষ্কার রাখুন। সে সঙ্গে পরিষ্কার রাখুন ব্যবহারের পোশাক, বিছানা, বাথরুম।

ঘুম : প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। দিনের অন্য সময় এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিন।

মানসিক চাপ : অতিরিক্ত চিন্তা বা উত্তেজনা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। যা আপনার ও গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। তাই এমন কিছু করতে চেষ্টা করুন যেন সবসময় মন ভালো থাকে। গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। সুস্থ থেকে গর্ভাবস্থার পুরো সময় উপভোগ করুন। মনে রাখবেন, আপনি সুস্থ থাকলেই ভালো থাকবে অনাগত সন্তান। তার সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করুন।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy