গর্ভাবস্থা এড়াতে কোন খাবারগুলো সাহায্য করে জেনেনিন

জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য সবাই পছন্দসই উপায় অবলম্বন করে থাকেন! তবে গর্ভনিরোধক কোনো পদক্ষেপই শতভাগ কার্যকর নয়। মাঝে মাঝে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন পদ্ধতিও ব্যর্থ হতে পারে। আবার এসব পদ্ধতি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণও হয়ে থাকে।

তাই প্রাকৃতিক প্রতিকারের উপর নির্ভর করতে পারেন। কারণ প্রাকৃতিক উপায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অবলম্বন করলে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় না। সুতরাং গর্ভাবস্থা এড়াতে কোন খাবারগুলো সাহায্য করে জেনে নিন-

ভিটামিন সি

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শুধু স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য উপকারী নয়, বরং জন্ম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আদর্শ ও নিরাপদ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে যুগ যুগ ধরে কাজ করে আসছে ভিটামিন সি জাতীয় ফল। যেমন- আনারস, শারীরিক মিলনের ২-৩ দিনের মধ্যে আনারস খেলে গর্ভধারণ এড়ানো যায় বলে অনেকের মত।

আদা

আদা পিরিয়ড নিয়মিত করার কাজে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে সাহায্য করে আদা। এজন্য ১ কাপ জলে ৫ মিনিট আদা কুচি সেদ্ধ করে জল চায়ের মতো চুমুক দিয়ে পান করলে প্রতিকার মিলবে। দিনে দুইবার খেলে গর্ভধারণ এড়ানো যাবে।

বিভিন্ন ফলে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড থাকায় এটি ডিম্বকোষে পৌঁছাতে প্রোজেস্টোজেন হরমোনকে বাঁধা দেয়। আদর্শভাবে গর্ভাবস্থা এড়াতে চিকিৎসকরা ১৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ক্যাপসুলের পরামর্শ দেন।

দারুচিনি

প্রাকৃতিকভাবে গর্ভাবস্থা এড়াতে দারুচিনি অনেক কার্যকরী। এটি প্রাকৃতিকভাবেই গর্ভাবস্থা এড়ানোর কার্যকরী প্রতিকার। সারা রাত দারুচিনি জলে ভিজিয়ে রাখুন।

পরের দিন সকালে ওই জল পান করুন। এটি জরায়ুকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে, তাই গর্ভপাত এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

শুকনো ডুমুর

প্রাকৃতিকভাবে শুকনো ডুমুর গর্ভাবস্থা এড়ানোর প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন শুকনো ডুমুর ২-৩ টুকরো খেলে অযাচিত গর্ভাবস্থা এড়ানো যায়। তবে অতিরিক্ত ডুমুর খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে।

নিম

অ্যান্টি-ফার্টিলিটি হার্ব নামেও পরিচিত নিম। ফলিকুলার বৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে এই ভেষজ উপাদানটি। এটি পুরুষদের মধ্যে প্রজনন কার্যকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে।

শালগম

গর্ভাবস্থা এড়াতে শালগম খেতে পারেন। শারীরিক মিলনের এক সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভাবস্থা রোধ করতে পারে শালগম। আধা গ্লাস জলে এক চামচ শালগমের শুকনো গুঁড়ো এক সপ্তাহে প্রতিদিন কমপক্ষে দু’বার এটি পান করতে হবে।

পেঁপে

শারীরিক মিলনের পরপরই পেঁপে খেলে অযাচিত গর্ভাবস্থা এড়ানো সম্ভব। এটি পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যাও হ্রাস করে। অবিশ্বাস্য ফলাফলের জন্য দিনে দু’বার পেঁপে খান। আপনি এর রসও পান করতে পারেন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy