ঘুমের ওষুধের ওপর বাড়ছে নির্ভরশীলতা! তাহলে অদূর ভবিষ্যতেই বিপদের আশঙ্কা

কোনও বড় অসুখ করলে বা কোনো অপারেশন-এর পর ডাক্তারেরা সাধারণত রোগীদের ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই ওষুধ খাওয়ার পর অনেকেই আর তা ছিড়তে চান না। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বড় সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় তাদের। দিনে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমের কথা সকলেই বলে থাকেন। কিন্তু তার থেকে বেশিক্ষণ ঘুমিয়ে থাকলে শরীরে নানা বিধ অসুখের জন্ম নিতে দেখা যায়। যা থেকে সমস্যা বাড়ে। এখানেই শেষ নয়। ঘুমের ওষুধের রয়েছে বেশ কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

সেগুলো কী কী জেনে রাখুন, এবং এড়িয়ে চলুন ঘুমের ওষুধঃ

১. তন্দ্রচ্ছন্নভাবঃ সারা দিন ধরেই ঘুম ঘুমভাব থাকে। শরীরে কোনও প্রকার জোড় পাওয়া যায় না। যা থেকে ঝিমুনির সৃষ্টি হয় এবং কাজ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।

২. আচরণের পরিবর্তনঃ মেজাজ মোটেই ভালো থাকে না অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা গরম হয়ে যাওয়া, খিট খিট করা, বেশিক্ষণ ধরে কথা না বলা প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।

৩. নেশাঃ ঘুমের ওষুধ এক প্রকারের নেশা। তা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এই ওষুধের নেশা একবার ধরে নিলে প্রতিদিন মনে হবে যে ওযুধ না খেলে ঠিক মতন ঘুম আসছে না।

৪. নির্ভরশীলতাঃ এই ওষুধের ওপর একবার নির্ভরশীল হয়ে পড়লে পরবর্তীতে তা ছাড়া মুশকিল। এবং েই ওষুধ ছা়ডা ঘুম আসাও সম্ভবপর নয় বলেই মনে হয়।

৫. হার্টের অসুখঃ ঘুমের ওষুধ থেকে হার্টের অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই এই ওষুধ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

৬. অবসাদঃ মন খারাপ করে থাকা, কোনও কিছু ভালো না লাগা, এই ধরনের সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় ঘুমের ওষুধ খেলে। তাই সময় থাকতেই সচেতন হতে হবে এবং এড়িয়ে চলতে হবে এই অসুধ।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy