পিরিয়ডের ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর, মেয়েরা অবশ্যই এই সমস্যা সাবধান থাকুন

পি‌রিয়ড বা ঋতুস্রাব বা মাসিক প্র‌ত্যেক মে‌য়ে‌দের এক‌টি শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। নারী‌দেহ‌কে সুস্থ ও গর্ভধারণে সক্ষম কর‌তে প্রতি মাসের নি‌র্দিষ্ট তারিখ থে‌কে স্বাভা‌বিক নিয়‌মে ক‌য়েক‌দিনব্যাপী পি‌রিয়ড হয়। পিরিয়ড চলাকালীন বেশির ভাগ নারীর পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যাথাকে লেবার পেইনের সঙ্গেও তুলনা করা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত তল পেটে হয়ে থাকে, স্থায়ী হয় চারদিন পর্যন্ত।

এমন পরিস্থিতিতে নারীদের বিরক্তির উদ্রেক এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। নারীদের মন ও শারীরেও এর প্রভাব পড়ে। কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় ভিন্ন দাবি করা হয়েছে।

ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, পিরিয়ডের ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের থেকেও বেদনাদায়ক!
সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক অধ্যাপক জন গুইলেবাউড এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পিরিয়ডের সময়কাল ‘হার্ট অ্যাটাকের থেকেও খারাপ’।
অধ্যাপক গুইলেবাউড আরও উল্লেখ করেছেন, পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন নারীর ডেসোমেনারিয়া থাকে। একে বেদনাদায়ক সময়কাল হিসেবে ধরা হয়। এ সময় ব্যাথার তীব্রতা এমনও হয়ে থাকে যে অনেক নারী নাড়াচড়া করতে পারে না। এমনকি ব্যথার তীব্রতায় অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়।

ঋতুবতী নারীর যত্ন নেওয়া উচিত জানিয়ে অধ্যাপক জন গুইলেবাউড বলেন, এই সময়ে তাদের যত্ন নিলে তা ওষুধের থেকেও কার্যকর হয়।

‘নারীদের মাসিকের এই ব্যথাকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। নারীরা মাসিকের বিষয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করে না। মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অল্পবয়সী মেয়েদের জ্ঞানও কম থাকে’।

এই গুরুতর অবস্থা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে বলেও জানান ডা. আনালাইজ।
এ অবস্থায় যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে

পিরিয়ডের ব্যাথা প্রধানতঃ দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো প্রাথমিক ডেসোমেনারিয়া এবং অন্যটি এন্ডোমেট্রিয়োসিস। মাসিক চলাকালে বেদনাদায়ক সময়কে প্রাথমিক ডেসোমেনারিয়া বলে।

এন্ডোমেট্রিওসোসিস তখন এমন অবস্থা থাকে যখন টিস্যুগুলোকে পেলভিক অঙ্গের গর্ভাশয়ে প্রসারিত করে। যেমন ডিম্বাশয়ের বা ফলোপিয়ান টিউব। এই টিস্যুগুলো যখন জরায়ুর বাইরের প্রসারিত হয় তখন ঘন ঘন রক্তপাত হতে থাকে। মাসিক চক্রের এই অবস্থায় নারীদের পেটে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় গর্ভধারণে ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথায় কখন ডাক্তার দেখানো উচিত
যখন পিরিয়ডের ব্যথা একেবারেই সহ্যের বাইরে চলে যায় তখন অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy