পিসিওডি’তে আক্রান্তরা যে খাবারগুলো একদমই খাবেন না, জেনেনিন তার কারণ

বর্তমান বিশ্বের লাখ লাখ নারী পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম) বা পিসিওডি’তে (পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ) ভুগছেন। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণেই এ অসুখটি শরীরে বাসা বাঁধে। পিসিওএডি তেমনই এক ব্যাধি। ২০০০ সালে অধ্যাপক কোহিনূর বেগম এসএসএমসি’র জার্নালের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের অন্তত ২২ শতাংশ নারী প্রজনন বয়সে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত। অনেকেই টের পান না তারা গুরুতর এই সমস্যায় ভুগছেন।

বিশ্বজুড়ে বন্ধ্যাত্বের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পিসিওডি। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারণে পরিবর্তন আনলে অনেকটাই সুস্থতা মেলে এ রোগ থেকে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চা করতেই হবে।

পিসিওএডি কী?
এক্ষেত্রে ওভারিতে একাধিক সিস্ট দেখা যায়। সিস্টগুলিতে ফ্লুইড থাকে। পিরিয়ড সঠিক সময় না হওয়ার কারণেই মূলত পিসিওডি হতে পারে। পিসিওডিতে আক্রান্তদের ওভারি সাধারণের তুলনায় আকারে বড় হয়ে যায়।

অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি করতে থাকে। এই অবস্থাকে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি বলা হয়।

পিসিওডি’র লক্ষণ কী কী?
>> অনিয়মিত মাসিক
>> অতিরিক্ত বডি হেয়ার
>> অ্যাকনের সমস্যা
>> কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন
>> ওজন বেড়ে যায়
>> স্তনের গঠনে পরিবর্তন
>> চুল পাতলা হয়ে যায় ইত্যাদি।

পিসিওএডি’র কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে?
>> অনিয়মিত মাসিক
>> গর্ভধারণে সমস্যা
>> ওজন বেড়ে যায়
>> চুল পাতলা হয়ে যায়
>> শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

পিসিওডি হলে যেসব খাবার একদমই খাবেন না
যেহেতু এই ব্যাধিতে আক্রান্তদেরকে জীবনযাত্রা বদলাতে হয়, সেক্ষেত্রে খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। যে খাবারগুলো পিসিওডি’র সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে, সেসব খাবার একদমই খাওয়া যাবে না।

বিশেষ করে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়েট থেকে মিষ্টি বাদ দিতে হবে। এ সছাড়াও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে আনতে হবে।

অর্থাৎ ভাত ও রুটি মেপে খেতে হবে। ভাজাপোড়া খাওয়া একেবারেই চলবে না। পাশাপাশি সফট ড্রিঙ্ক, সাদা পাউরুটি, পাস্তা, পেস্ট্রি, আইসক্রিম, কেক, চকোলেট এড়িয়ে চলুন।

এসবের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় রাখুন মৌসুমী ফল-মূল। যেসবে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। একই সঙ্গে ভিটামিন জাতীয় খাবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবেন।

পিসিওডিতে আক্রান্তদের ওজন যেহেতু বাড়তেই থাকে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর রাখতে হবে। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনে ভোগেন, তাহলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি দৈনিক অন্তত ৩০-৪০ মিনিট শরীরচর্চা করুন।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy