মুখ ধোয়ার হেলাফেলায় ত্বকের ক্ষতি, জানুন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিটি

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের প্রথম কাজ থাকে মুখ ধোয়া। এছাড়াও আমরা বাইরে থেকে এসে কিংবা কোনো অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে মুখ ধুয়ে থাকি। বলা চলে, মুখ ধোয়া আমাদের প্রতিদিনের একটি প্রয়োজনীয় অভ্যাস। তবে বেশিরভাগ সময় আমরা ব্যস্ততার কারণে এই কাজটিকে কোনোমতে তাড়াহুড়োতে করে ফেলি। অথচ মুখ ধোয়ারও কিছু নিয়ম আছে। হাস্যকর মনে হলেও কথাটি সত্য।

কারণ সঠিকভাবে মুখ ধোয়া না হলে নিজের মুখের ত্বকেরই মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে! এমনকি নিয়ম মেনে মুখ না ধুলে দেখা দিতে পারে ব্রণের উপদ্রব ও বলিরেখাও। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক মুখ ধোয়ার সঠিক উপায়টি-

ভালোভাবে হাত ধোয়া

মুখ ধোয়ার আগে অবশ্যই হাতের ময়লা-জীবাণু দূর করার জন্য হাত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। না হলে হাত থেকে জীবাণু সরাসরি মুখে স্থানান্তরিত হয়ে ব্রণের উপদ্রব ঘটাবে।

কুসুম গরম জলে মুখ ধুতে হবে

ঠাণ্ডা জলে মুখ ধোয়া প্রশান্তিদায়ক হলেও, ত্বকের সুরক্ষার জন্য কুসুম গরম জলে মুখ ধোয়া উচিত। অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা জল ত্বকের জন্য উপকারী নয়। গরম জল ত্বকে থাকা প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা জল ত্বকের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ করে।

দিনে দু’বারের বেশি মুখ ধোয়া নয়

অনেকেই হয়তো দিনের ভেতর কয়েকবার করে মুখ ধুয়ে থাকেন। বারংবার মুখ ধোয়ার ফলে ত্বকে থাকা প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেলের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। যা ত্বকে ব্রণের উপদ্রবের সম্ভবনা বৃদ্ধি করে। তাই চব্বিশ ঘন্টা দুইবারের বেশি মুখ না ধোয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে একবার বেশি ধোয়া যেতে পারে।

ভুল ক্লিনজার ব্যবহার না করা

মুখের ত্বকের পি-এইচ-এর মাত্রায় অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় ভুল ক্লিনজার ব্যবহারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুখের ত্বকের পি-এইচ-এর মাত্রা হলো ৫.৫ পি-এই। এ মাত্রায় ত্বকের উপরিভাগের রক্ষণশীল পাতলা পর্দা যাকে অ্যাসিডের আবরণ বলা হয়, সেটা কার্যকর থাকে। এ পর্দা ত্বককে ক্ষতিকর জীবাণু, টক্সিন, ও ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে। যে কারণে ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও ত্বকের জন্য মানানসই ক্লিনজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পরিষ্কার কাপড়ে মুখ শুকাতে হবে

এই নিয়মটা মানা খুবই জরুরি। কারণ মুখ ধোয়ার পর মুখের ত্বক খুব নাজুক অবস্থায় থাকে। কাপড় পরিষ্কার না হলে, সেই কাপড় থেকে জীবাণু খুব দ্রুত মুখে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। আরো একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কাপড়, তোয়ালে কিংবা গামছায় মুখ খুব জোরে মোছা যাবে না। আস্তে আস্তে মুখের উপর চেপে চেপে জল শুকিয়ে নিতে হবে।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy