সাবধান! সব হার্ট অ্যাটাকে বুকে ব্যথা হয় না, বিপদ আসন্ন বুঝে নিন এই উপায়ে

হার্ট অ্যাটাক মানে বুকে ব্যথা ও চাপ অনুভব হওয়া সবারই জানা। কিন্তু জানেন কি, সব ধরনের হার্ট অ্যাটাকে একদমই ব্যথা হয় না। তাছাড়া খুব একটা চাপও লাগে না। সামান্য অস্বস্তিবোধ হয়। আর এতেই ভিতরে ভিতরে বড়সড় ক্ষতি হয়ে যায়। তাই একে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকও বলা হায়।
হার্ট অ্যাটাকের সময় প্রতিটা সেকেন্ডের মূল্যই অনেক। কিন্তু এই হার্ট অ্যাটাক কখন কোন ফাঁকে আক্রমন করে তা অনেক সময় জানা সম্ভব হয় না। মূলত এই প্রকারের অ্যাটাকের উপসর্গ একটু একটু করে দীর্ঘ সময় ধরে আসে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবব্রত রায়ের মতে, ‘‘সাধারণত, পুরুষের তুলনায় নারীরা এই রোগের শিকার হন বেশি। অনেক সময়ই সচেতনতার অভাবে কোনো হালকা বুকের ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা বলে ভুল ভাবনা নিয়ে বসে থাকেন। সচেতনতার অভাবেই এই সব অসুখ ক্ষতি করে। কারো ক্ষেত্রে হার্ট থেকে ব্যথা নিয়ে যাওয়ার যে স্নায়ু তা ভোঁতা হয়ে যায়। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কারণেও এমনটা হতে পারে। কারো আবার ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বেশি কারণ তাঁদের শরীরে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বেশি। আবার আর্টারি পুরো বন্ধ হয়ে গিয়ে নিজে থেকে খুলে পরে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হার্টের মাসল। পরে শ্বাসকষ্ট হলে ইসিজি, ইকো বা টিএমটি করলে তা বোঝা যায়।’’

সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

একটানা নয়, মাঝে মাঝে চিনচিন করে ব্যথা হওয়া সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।

অনেক সময় সারা বুক জুড়ে চাপ বা ব্যথা হতে পারে। বুকের পেশীতেও চাপ পড়তে পারে।

কারো কারো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। একটুতেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন, কোনো কাজ না করে শুধু বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে।

সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক এড়াবেন এই উপায়ে

হার্ট অ্যাটাক মানেই কেবল বুকে ব্যথা এমন নয়, বরং হাত, ঘাড় ও দুই কাঁধের মধ্যেও ব্যথা হতে পারে। ব্যথা বুক থেকে ছড়িয়ে পড়ে হাতে। এমন ব্যথা যে প্রবল হবে তা নয়, চিনচিন ব্যথা হলেও তাকে অবহেলা করবেন না।

কোলেস্টেরল ও ওবেসিটি থাকলে সচেতন থাকুন, প্রতি তিন মাস অন্তর লিপিড-প্রোফাইল পরীক্ষা করান।

নিয়মিত শরীরচর্চা ও হাঁটাহাঁটি বজায় রাখুন।

ডায়েটে বাদ দিন তেল-মশলার আধিক্য। যোগ করুন সবুজ শাকসবজি ও ফল।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy