স্নানের সময় অজান্তে যে ভুলগুলোর কারণে মুখে ব্রণ ও বলিরেখা হয়, দেখেনিন

স্নান করার সময় বেশ কয়েকটি ভুলে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। যেমন- ভরা পেটে স্নান করা গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের কারণ হতে পারে, আবার স্নানের সময় ভেজা চুল আঁচড়ালে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।

এছাড়া দীর্ঘদিন গরম জলে স্নান করলে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক, এর থেকে সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ধরনের নান ভুল স্নানের সময় কমবেশি সবাই করেন। তবে স্নানের সময় মুখ ধোয়া উচিত নয়, এ বিষয়টি হয়তো অনেকেরই অজানা।

এর থেকে ত্বকে হতে পারে ব্রণ, এমনকি অকালে ত্বকে বলিরেখা পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে স্নানের সময় মুখ ধোয়ার অভ্যাস। আসলে শরীরের তুলনায় মুখের ত্বক বেশি সংবেদনশীল।

আপনি যদি ঠান্ডা জলের বদলে গরম জলে স্নান করেন সেক্ষেত্রে মুখ ধোয়া এড়িয়ে চলুন। জেনে নিন এর থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে-

ব্রণের সমস্যা বাড়ায়

দীর্ঘক্ষণ ধরে গরম জলে স্নান করলে ত্বক প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা হারায়। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে স্নানের সময় গরম জলে মুখ ধোয়ার ফলে ব্রণের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। শুষ্কতা থেকে বাঁচতে ও ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক লালচে হতে পারে

গরম জলে মুখ ধোয়ার ফলে ত্বক লালচে দেখাতে পারে। এর কারণ হলে গরম জল মুখের রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করে।

অকালে বলিরেখা হতে পারে

দীর্ঘক্ষণ গরম জলে স্নান করার ফলে অনেক সময় দেখবেন হাত-পায়ের আঙুল কুঁচকে যায়! এর কারণ হলো গরম জল ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়।

এমনকি ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঠিক একইভাবে মুখের ত্বকও নিয়মিত গরম জলের সংস্পর্শে এলে আর্দ্রতার অভাবে অকাল বলিরেখা পড়ে ত্বকে।

ত্বক আরও সংবেদনশীল করে তোলে

স্নানের সময় গরম জলে মুখ ধুলে সুস্থ ত্বকও হয়ে ওঠে শুষ্ক ও সংবেদনশীল। এ কারণে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে গরম জলে মুখ ধোয়া বা স্নান করা উচিত নয়।

ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি করে

দীর্ঘক্ষণ স্নানের পরে অনেকের ত্বকেই চুলকানির সৃষ্টি হয়। সংবেদন সাধারণত হালকা হয় ও অল্প সময়ের জন্য চুলকানি স্থায়ী হয়। তবে নিয়মিত গরম জলে মুখ ধোয়ার ফলে ত্বক চুলকাতে পারে এমনকি উঠতে পারে চামড়া।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy