দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যা যা করা জরুরি, অবশ্যই জেনেনিন আপনিও

প্রেমে পড়া যতটা সহজ, তার চেয়ে কঠিন হলো প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। প্রিয়জনের সঙ্গে জীবন কাটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে, সেটি যে একটি বিশাল দায়িত্ব তা সবারই মাথায় রাখা উচিত।

প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার পাশাপাশি সঙ্গীর সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, আনুগত্য, সততা, যৌন সামঞ্জস্যতাসহ আরও নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।

এসব বিষয়ে বোঝাপোড়া ভালো থাকলে তারা একে অপরের পরিপূরক হতে সক্ষম হয়। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার পাশাপাশি আরও যা যা জরুরি-

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা

দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরি। সঙ্গীর মতামতকে মূল্যায়ন করা, সমস্যা বোঝা ও চাহিদা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

দাম্পত্য সম্পর্ক এগিয়ে শক্তিশালী করার সর্বোত্তম উপায় এটি। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, উভয় অংশীদার একে অপরেরেআশপাশে থাকাকালীন নিরাপদ বোধ করেন কি না।

সততা ও বিশ্বাস বজায় রাখা

সম্পর্কে সততা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে হবে। প্রিয়জনের প্রতি আপনি যতটা লয়্যাল থাকবেন, তিনিও ততটাই আপনাকে ভালোবাসবেন। একটি সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের উপর।

আর যখনই একে অপরের উপর থেকে বিশ্বাস চলে যায় তখনই সংসার ভেঙে যায় কিংবা দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে। ভালোবাসার পাশাপাশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সঙ্গীর সঙ্গে সৎ থাকাটা জরুরি।

যোগাযোগ রক্ষা করা

নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। দিনে বেশ কয়েকবার সঙ্গীর খোঁজখবর নেওয়া উচিত স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই। এমনকি কর্মব্যস্ত জীবনে যতটুকু অবসর সময় পান নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সঙ্গীকে সময় দিন।

তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় যোগাযোগের অভাবে। তাই এদিকে বিশেষ সতর্ক থাকুন।

শেয়ারিং ও কেয়ারিং হতে হবে

দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই উচিত একে অন্যের প্রতি শেয়ারিং ও কেয়ারিং হওয়া। সাংসারিক কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দায়-দায়িত্ব সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে সংসার সুখের করতে পারেন।

এই অভ্যাস যেসব দম্পতির মধ্যে নেই তাদের মনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও তা একসময় কমে যায়।

যৌন অন্তরঙ্গতা বজায় রাখা

শারীরিক স্পর্শ ও যৌন অন্তরঙ্গতা বজায় রাখার মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। সঙ্গীও হাত ধরা, আলিঙ্গন করা কিংবা খুনসুটি ইত্যাদি দুজনের মধ্যকার যৌন ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।

এই অভ্যাসগুলো দুজন মানুষকে আবেগগতভাবে কাছাকাছি আনে। ভালোবাসার পাশাপাশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুজনের মধ্যে যৌন সামঞ্জস্যতাও জরুরি।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy